ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ার মগনামায় রাতের আঁধারে মৎস্য ঘেরের ২লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট, আহত ১

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::  কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে রাতের আঁধারে একটি মৎস্য ঘেরে একদল দূর্বূত্ত কর্তৃক হানা দিয়ে ২লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ লুটে বাধা প্রদান করায় দূর্বূত্তদের হামলায় মৎস্য ঘেরের মালিক গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল ২৬ আগস্ট (শনিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া গ্রামে ঘটনাটি সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় মৎস্য ঘেরের মালিক মোহাম্মদ দিদার উদ্দিন দূর্বূত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দিদার ওই গ্রামের নুরুল কাদেরের ছেলে।

আহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাতের আঁধারে মগনামা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড়ের কোদাইল্যাদিয়া গ্রামের দিদার উদ্দিনের মৎস্য ঘরে মাছ লুটের চেষ্টা চালায় একই এলাকার আশরাফ মিয়ার তিন ছেলে বিভিন্ন মামলার আসামী মোহাম্মদ আব্দুল হাকিম, মোঃ আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় মৎস্য ঘেরের মালিক দিদার বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দূর্র্বূরা তার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। আহত দিদারের আত্ম চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মাছ লুটকারী দূর্বৃত্তরা স্বদলবলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত দিদারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

আহত মৎস্য ঘেরের মালিক দিদার উদ্দিন জানান, হামলাকারী আবদুল হাকিম গং তার কাছ থেকে ইতিপূর্বে তিন লাখ চাঁদাদাবি করেছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে তারা আমার মৎস্যঘেরে লুটের হুমকি দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে মারাত্মকভাবে সজ্জিত হয়ে আমার মৎস্যঘেরে এসে আমাকে গুরুতর আহত করে দুই লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় হামলকারীর আমার হাতে থাকা ১৬ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি মোবাইল সেটও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়ে প্রতিকার দাবি করবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য বদিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

পাঠকের মতামত: